স্টাফ রির্পোটার, সিলেট //
শ্মশান ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পতিত দেখিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের দলিল হস্তান্তর করেছেন জাল জালিয়াত-চোরাকারবারী চক্রের গডফাদার রতন মনি মোহন্ত ওরফে ব্যঙি মোহন্ত। তাও আবার তার নিজের স্ত্রী আলেক রানী মোহন্তের নামে।
অনূসন্ধ্যানে দেখা যায়, পৃথক দুটি দলিলে পাঁচ শতক পঁচিশ পয়েন্ট জায়গা শ্রেণী পরিবর্তন দেখিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তিনি তার স্ত্রীকে এই ভুমি হস্তান্তর করেছেন। যার দলিল নং-৭২১২/০৩ ও ৮২৮১/২০০৩। ৭২১২ নং- দলিলে ০০৪২৫ একর এবং ৮২৮১ নং- দলিলে ০,০১০০একর। দেবপুর মৌজার জে এল নং- ৯৬ স্থিত ছাপা খতিয়ান নং- ৮৬০, নামজারী খতিয়ান নং- ২১৫৪ এর অর্ন্তগত মো: জরিপী দাগ নং- ২৬৭১।
এদিকে বর্তমান প্রিন্ট পর্চায় চাঞ্চল্যকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পাঁচ শতক পঁচিশ পয়েন্ট জায়গার বদলে সেই পর্চায় কাকতালিয় ভাবে ১০ শতক ভুমি উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান দাগ নং-৭৩২৭ ও ৭৬৬০। সেখানে দেখানো হয়েছে বাড়ী ও ভিটা রকম ভুমি। সূত্র-দ্য ডেইলিমর্নিংসান। শ্মশান এর জায়গাকে প্রথমে পতিত পরে বাড়ী ও ভিটা হিসেবে দেখানো হয়েছে। যার বাজার মূল্য হবে অন্তত প্রায় দেড় কোটি টাকা।
কাগজ অনুসন্ধ্যানে দেখা যায়, আলেক রানী মোহন্তের নামের এই প্রিন্ট পর্চায় সঠিক তথ্য গোপন করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে জং-রতন মনি মোহন্ত, দং-আলেক রানী মোহন্ত, সাং-দেবপুর লামাপাড়া, উত্তরা আ/এ-২৩৩। সেখানে নাথপাড়া গ্রামের বদলে লামাপাড়া উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়াও একাধিক দলিল থেকে ভুমি হস্তান্তরের বিষয়টি যথাযথ আইনানুগ নিয়ম কানুন না মেনেই দলিল গ্রহীতা আলেক রানীকে সমজিয়ে দেয়া হয়। এভাবেই সে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অল্পদিনে বনে যায় কোটি কোটি টাকার মালিক।
আপনার মতামত লিখুন :